ফেয়ার ফেস প্লাস্টার

ফেয়ার ফেস প্লাস্টার


আজ ‘ফেয়ার ফেস প্লাস্টার’ নিয়া আলোচনা করব
ফেয়ার ফেস প্লাস্টার আসলে কি?
ফেয়ার ফেস প্লাস্টার ইন্টেরিয়র ও এক্সটেরিয়র উভয় স্থানেই ব্যবহার করা যায়। ফেয়ার ফেস প্লাস্টার ব্যবহার করলে আর নতুন করে পেইন্ট মানে বিল্ডিং এ রং করতে হয় না। এটি দেখতে সুন্দর এবং দীর্ঘস্থায়ী।
এখন জানব ফেয়ার ফেস প্লাস্টার কী?
ফেয়ার ফেস হচ্ছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিমেন্ট বেইজ এক ধরনের প্লাস্টার। এটি মূলত ৬০ শতাংশ সাদা সিমেন্ট ও ৪০ শতাংশ গ্রে সিমেন্ট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্টোন চিপসের সমন্বয়। ইটের শুকনো দেয়ালে ফেয়ার ফেস প্লাস্টারের আস্তর লাগাতে হয়। সাধারণ বালু সিমেন্টের আস্তর করার মতোই ফেয়ার ফেস প্লাস্টারের আস্তর করতে হয়। সাধারণ প্লাস্টার করার পরও ফেয়ার ফেস প্লাস্টার করা যায়। সে ক্ষেত্রে সাধারণ প্লাস্টারকে রাফ করে নিতে হয়।
ফেয়ার ফেস প্লাস্টারের পুরুত্ব ৮ মিলিমিটার। ফেয়ার ফেস প্লাস্টার দেখতে উজ্জ্বল ছাই রঙা ধরনের। সিমেন্ট বেইজ হওয়ায় এটি অত্যন্ত মসৃণ ও গ্লসি হয়ে থাকে। একবার ব্যবহার করলে সারাজীবন চলে। সাধারণত ২০-৩০ বছরের স্থায়িত্বের গ্যারান্টিতে ফেয়ার ফেস প্লাস্টারের কাজ করা হয়। ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র উভয় স্থানেই ব্যবহার করা গেলেও এক্সটেরিয়েরই ব্যবহার করা হয় বেশি। ফেয়ার ফেস প্লাস্টারের কাজ করার সময় ইচ্ছে অনুযায়ী গ্রুভ ব্যবহার করা যায়। সাধারণত প্রতি ২ ফিট পর পর ১-২ ইঞ্চি গ্রুভ ব্যবহার করা হয়। ইচ্ছে করলে এর কম-বেশিও করা যায়। ফেয়ার ফেস প্লাস্টার কাজ করার পর তিন থেকে সাত দিন কিউরিং করলে ভালো হয়। আস্তরে চুল ছেঁড়া দাগ হয় না।
ফেয়ার ফেস সাধারণত প্রতিবর্গ ফুট ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা মূল্যে কাজ করা যায়। তবে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের বাইরে কাজ করতে মাচা তৈরি করতে হয়। মাচা বাবদ আরো পাঁচ টাকা লাগতে পারে।
দেখতে অত্যন্ত মসৃণ, আভিজাত্য ও অনন্য সুন্দর হওয়ায় বাংলাদেশে এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় অনেক বিল্ডিংয়েই ব্যবহৃত ফেয়ার ফেস প্লাস্টার আপনার নজর কাড়বে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি চলে যুগের পর যুগ।


No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.